বিড়াল - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (মূল প্রবন্ধ)
বিড়াল - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (এক নজরে) ত্রয়োদশ সংখ্য
→ 'বিড়াল' প্রবন্ধেটি লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
→ প্রবন্ধটি ‘কমলাকান্তের দপ্তর' নামক প্রবন্ধে অন্তর্গত।
→ প্রবন্ধটি 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় ১২৮১ সালে, চৈত্র সংখ্যায় প্রকাশিত।
→ প্রবন্ধটি ‘কমলাকান্তের দপ্তর' নামক গ্রন্থের ত্রয়োদশ সংখ্যক রচনা।
→ প্রবন্ধটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'শ্রী কমলাকান্ত চক্রবর্তী' ছদ্মনামে লিখেছেন।
→ প্রবন্ধে কমলাকান্ত ও বিড়ালকে দুটি শ্রেণির মানুষ বা প্রতিনিধি রূপে দেখেছেন –কমলাকান্ত হলেন সুবিধাভোগী স্বচ্ছল শ্রেণির মানুষ, বিড়াল শোষিত নিপীড়িত দরিদ্রসমাজের মানুষ ।
→ বিড়ালের - মুখ দিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'সাম্যতন্ত্রের' কয়েকটি কথা বলেছেন।
→ প্রবন্ধটিতে বিড়াল 'কমলাকান্তের' জন্য রক্ষিত দুধ খেয়ে ফেলায় কমলাকান্ত তাকে মারতে যান। এতে ক্ষুব্ধ বিড়াল কমলাকান্তকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে কৃপণা ধনী সম্প্রদায় চুরির মূল কারণ। তাদের অপরিসীম ধনসঞ্চয়ের জন্য প্রবঞ্ছিত দরিদ্র শ্রেনির মানুষ বাধ্য হয়ে চুরি করে। দরিদ্র্যের দুঃখ-দুর্দশা-লাঞ্ছনার প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয় বা করে না।
→ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই প্রবন্ধে 'বিড়ালকে' প্রহৃত করার মধ্য দিয়ে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের দিকটি তুলে ধরেছেন।
→ প্রবন্ধটিতে বিড়ালের বক্তব্য পরের উপকার করা হল মানুষের ধর্ম। কমলাকান্তের দুধ, বিড়াল খেয়ে নিয়ে প্রকৃতপক্ষে কমলাকান্তেরই উপকার করেছে।
→ বঙ্কিমচন্দ্র বিড়ালের মুখ দিয়ে বলেছেন ধনীর অপর্যাপ্ত ধনের জন্যই দরিদ্ররা চুরি করে। ধনীরা অতিরিক্ত ধনসঞ্চয় করে রেখে দেয় বলেই গরীবরা তাই পায় না। তাই দরিদ্র শ্রেনীর মানুষ চুরি করে।
→ প্রবন্ধটিতে বিড়াল ধনীর ধনসঞ্চয় ও চোর তথা গবীর মানুষদের চুরি করার প্রসঙ্গে বলেছেন যে, ধনী তার ক্ষমতালোভী ধন সঞ্চয় করে এবং তা ভোগ করতে চায়।
→ এই প্রবন্ধে কমলাকান্তের কাছে বিড়ালের ধনসঞ্চয় চুরি প্রসঙ্গে বক্তব্যটি বড় সোসিয়ালিস্টক বলে মনে হয়েছে।
→ বিড়াল কমলাকান্তের সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়ার প্রসঙ্গে বলেছেন - সমাজের ধনবৃদ্ধি মানে ধনীর ধনবৃদ্ধি ধনীর ধনবৃদ্ধি না হলে দরিদ্রের কোনো ক্ষতি হবে না।
অন্যদিকে কমলাকান্ত বলেছেন ধনীর ধনবৃদ্ধি ছাড়া সমাজের উন্নতি অসম্ভব।
বিড়াল - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (সারসংক্ষেপ)
বিড়াল - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন)
বিড়াল - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (বিষয়বস্তু)
বিড়াল - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর)
বিড়াল - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর)
Download Linkবিড়াল - শব্দার্থ ও টীকা :
নেপোলিয়ন – ফরাসী সম্রাট।
ওয়ার্টালু – একটি যুদ্ধের নাম, ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়নের সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধ হয় ওয়ার্টালু প্রাঙ্গনে। যার থেকে এই যুদ্ধের নাম হয় ওয়াটার্ল যুদ্ধ।
ডিউক অব্ ওয়েলিংটন – এটি একটি উপাধি, যা পেয়েছিল ইংরেজ সেনাপতি নেপোলিয়নকে পরাজিত করে ওয়াটালুর যুদ্ধে।
দুধ আমার বাপেরও নয় – সম অধিকারবোধের কথা প্রকাশিত।
বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ -বঙ্কিমচন্দ্র শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি কটাক্ষ হেনেছেন।
তেলা মাথায় তেল দেওয়া — যার আছে তার প্রতি কৃপা, মূলত অসম বন্টনের প্রতি ব্যঙ্গ করেছেন। এবং স্বার্থলোভীদের মুখোশ খুলে দিয়েছেন।
শতরঞ্জ - দাবা খেলা।
সোসিয়ালিস্টিক্ – সমাপ্ত সম্পৰ্কীয় তন্ত্ৰ ৷
পার্কার – থিয়োডর পার্কার, জনপ্রিয় ধর্মতত্ত্ববিদ এবং বহু ধর্মগ্রন্থের প্রণেতা।
আরও জানুন - মনুষ্যফল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিষয়বস্তু - ব্যাখ্যা মূলক - সংক্ষিপ্ত - মধ্যমানের - রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
0 Comments
Thank you for contacting jibonta.in! Please let us know how we can help you.